শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩০ লাখ টাকা মূল্যের পুরাতন দুটি অ্যাম্বুল্যান্স মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী না করা, অযত্ন-অবহেলা এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ ফেরত না নেওয়ায় এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে মাটিতে মিশে যাচ্ছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আমতলী হাসপাতালে আসা রোগীদের সেবার কথা বিবেচনা করে সরকার ১৯৯৭ এবং ২০০৩ সালে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের দুটি অ্যাম্বুল্যান্স প্রদান করে। অ্যাম্বুল্যান্স দুটি ২০১০ সালের দিকে নষ্ট হলে সে বছরই আরেকটি নতুন অ্যাম্বুল্যান্স প্রদান করা হয় আমতলী হাসপাতালে। অ্যাম্বুল্যান্স দুটি নষ্ট হওয়ার পর আর কোনো মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যায় অ্যাম্বুল্যান্স দুটি।
অপরদিকে নতুন অ্যাম্বুল্যান্স আসার পর গ্যারেজে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় পুরাতন অ্যাম্বুল্যান্স দুটি গ্যারেজ থেকে বাইরে বের করে খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়। একটি হাসপাতালের মূল ভবনের পেছনে মাঠের মধ্যে এবং আরেকটি চতুর্থ শ্রেণির আবাসিক ভবনের সামনে বাগানের গাছের নিচে ফেলে রাখা হয়। ফলে ঝড়বৃষ্টিতে ভিজে ও রোদে পুড়ে অ্যাম্বুল্যান্স দুটি স্থায়ীভাবে অকেজো হয়ে গেছে।
আজ বুধবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, অ্যাম্বুল্যান্স দুটির একটি মাঠের মধ্যে আমগাছের নিচে পড়ে আছে। আরেকটি চতুর্থ শ্রেণির আবাসিক ভবনের সামনের সড়কের পাশে গাছের নিচে পড়ে রয়েছে। এতে গাড়ি দুটি মরিচা ধরে টায়ার, কাচ, স্টিয়ারিং, সিটের ফোমসহ মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই।
আমতলীর সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যক্তিরা বলেন, এভাবে উদ্যোগের অভাব ও অযত্ন-অবহেলায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের অ্যাম্বুল্যান্স দুটি নষ্ট হবে এটা আমরা কামনা করি না।
আমতলী হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স চালক আ. আব্দুল জলিল জানান, অ্যাম্বুল্যান্স রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের দায়িত্বে রয়েছেন মহাখালীতে অবস্থিত কমিউনিটি বেইসড হেলথ কেয়ার লাইন ডিরেক্টর। অ্যাম্বুল্যান্স দুটি অকেজো হওয়ার পর অনেকবার তাদের জানানো হয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত গাড়ি দুটি ফেরত নেননি। এখন গাড়ি দুটি খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মুনয়েম সাদ বলেন, গাড়ি দুটি বাতিল ঘোষণার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহাখালীর লাইন ডিরেক্টর উপজেলা হেলথ কেয়ার (ইউএইচসি) উপপরিচালক ডা. হাসিবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জন যানবাহন ও যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা (ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজেশন) মাধ্যমে গাড়ি দুটি বাতিল ঘোষণা করে নিলামের মাধ্যমে বিক্রয়ের উদ্যোগ নিতে পারবেন।
Leave a Reply